বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যে কারণে ইতালিতে মৃত্যু হার এত বেশি

যে কারণে ইতালিতে মৃত্যু হার এত বেশি

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত ইতালিতে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭৭৯ জনে।

প্রাণঘাতী এই বৈশ্বিক মহামারীতে বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় ইতালিতে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বের মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সেখানে।

ইতালিতে একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছিল শুক্রবার, ৯১৯ জন। আর পরের দিন শনিবার মারা গেছেন ৮৮৯ জন।

রোববার পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৬৮৯ জনে।

ইতালিতে মৃত্যুহার অন্যান্য দেশের চেয়ে এত বেশি কেন? এ নিয়ে অনেকের কৌতুহল রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইতালির মৃত্যুহার বেশি হওয়ার পেছনে একাধিক উপাদান একসঙ্গে কাজ করেছে।

তারা বলছেন, মূলত ভাইরাসের মুখে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ব্যাপক সংখ্যক বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্ঠী ও সেখানে ভাইরাসটি পরীক্ষার চলমান পদ্ধতিতে পুরো সংক্রমণের চিত্র উঠে আসেনি।

জাপানের পর ইতালিতে বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি। করোনাভাইরাসে ইতালিতে উচ্চ মৃত্যু হার বেশি দেখানোর এটিও অন্যতম কারণ।

দেশটির হেলথ ইনস্টিটিউট শুক্রবার বলেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের গড় বয়স ৭৮ বছর।

মিলানের সাকো হসপিটালের সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের প্রধান মাসিমো গালি বলেন, করোনাভাইরাসে নিশ্চিত শনাক্ত হিসেবে ইতালিতে যে সংখ্যা দেখানো হচ্ছে, তা সংক্রমিত পুরো জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বশীল নয়।

তিনি বলেন, শুধু সংক্রমণের সবচেয়ে জটিল ঘটনাগুলোকেই পরীক্ষা করা হচ্ছে, পুরো সংক্রমিত জনগোষ্ঠী নয়। এ কারণেই মৃত্যুর হার অনেক বেশি দেখাচ্ছে।

গালি আরও বলেন, ইতালির সবচেয়ে আক্রান্ত এলাকা উত্তরের লম্বার্ডি থেকে প্রতিদিন মাত্র ৫ হাজার কফের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, যা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম। সেখানে ঘরে ঘরের হাজার হাজার অপেক্ষা করছে।

অন্য দেশগুলোকে সর্তক করে ইতালির এই চিকিৎসক বলেন, আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো, বিশেষ করে লম্বার্ডি এলাকায়। কিন্তু তারপরও মহামারীতে এটা ভেঙে পড়েছে।

মিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ফ্যাবরিজিও প্রেগলিয়াসকো বলেন, ভাইরাসের বিস্তারে ধীরগতি আমরা প্রত্যক্ষ করছি। এতে অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে, তা বলা যাবে না। বরং এটি ভালো লক্ষণ

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877